নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাড্ডার ফকিরখালী এলাকায় ভূমি জবরদখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে আতিকউল্লা, শাহ আলম, আমজাদ, শাহদাৎ, দ্বীন ইসলাম ও সাজ্জাদসহ সংঘবন্ধ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। ভূমি জবরদখল ও চাঁদাবাজির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ভূমি মালিকরা।
বিষয়টি নিয়ে অফিসার ইনচার্জ, ডিএমপি, ঢাকা বরাবর অভিযোগ করেছেন ভূমি মালিক রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর এলাকার তাজুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন- বাড্ডা থানার ফকিরখালী বড়বাড়ীর এলাকার আতিকউল্লা, আমজাদ, শাহদাৎ এদের পিতা জাহের আলী ছেলে আর বাকিদের পিতার নাম জানা নেই সর্বসাং ফকিরখালী বড়বাড়ীর।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, চাঁদাবাজরা স্থানীয় ভূমিদস্যু হওয়ায় তাদের ৩টি টার্গেট থাকে সহজ সরল ও প্রকৃত ভূমির মালিকদের উপর। তারই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে একের পর এক হুমকি ও ভাংচুর । চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার উটতলির এলাকার তাজুল ইসলাম ও ফারজানা দম্পতি বিগত ২০/০৪/ ২০২২ ইং তারিখে বাড্ডা থানার ফকিরখালী র্পব হারারদিয়ার মোর্জায় ০৫.৫২ অযুতাংশ জমি ক্রয় করেন। যাহার সাব রেজিস্টি অফিস দলিল নং ৫৭৯২, সিএস ও এস এ. ১৭৭ ও ১৭৮ নং আর এস ১১২ ও ১১৩ ঢাকা সিটিজরিপে ১৬২৩ ও ১৬২৪ (২টি দাগে) মোট জমি ০৫৫২ অযুতাংশ নাল জমি। ওই জমি ক্রয় করিয়া ভোগদখলে থাকাবস্থায় বিগত ২০২২ সালের ১৩ জুন সিটি ১৬২৩ ও ১৬২৪ নং দাগে ০৫৫২ অযুতাংশ নাল জমি নামজারি করাইয়া নেন। তারপর থেকে জমির সীমানায় সিমেন্টর খুটি ও সাইন বোর্ড এবং লেবারের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ করিয়া আসিতেছেন। মালিকেরা দূরে থাকায় সবমময় জমিতে যেতে পারতেন না। তাদের দৈনিক হাজিরায় লেবারের মাধ্যমে কাজ করাইয়া আসিতেছেন। তারই সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজরা তাজুল ইসলামকে ফোন দিয়ে হুমকি ও চাঁদা দাবি করেন। তাজুল ইসলাম চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চাঁদাবাজরা তাজুল ইসলাম ও ফারজানার ভোগ দখলীয় জমিতে গিয়ে লেবারদের জানে মেরে ফেরার হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় ও সীমানার পিলার ভাংচুর করে।
পরবর্তীতে ক্রয়ক্রীত ও ভোগদখলীয় জমির মালিকরা (তাজুল ইসলাম ও ফারজানা) ভীত হইয়া ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশের সাহায্য পার্থনা করেন। ( পূর্বে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের ০২/০৩/২০২৩ইং তারিখে থানার হুমকি ধমকির বিষয়ে অভিযোগ করা ছিল। পরবর্তিত হুমকিদাতারা থানায় এসে এসআই শাহাবুদ্দিন (আই.ও) এর কাছে বলে যায় হুমকি ধামকি আর কাজে বাধাঁ দিবেনা বলে চলে যায়।) পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লেবারদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে লেবাররা ঘটনার বিবরণ দেন। ওই সময় পুলিশের সামনেই অভিযুক্তরা বীরদর্পে বলতে থাকে আমরা সীমানা পিলার উঠিয়ে ফেলেছি, কাজ বন্ধ করেছি, আমরা আবার পিলার লাগাইয়া এবং কাজও চালু করে দিব। আমরা এলাকার স্থানীয় লোক যা বলব তাই হবে।’ এরই মধ্যে তাদের ১৫০ থেকে ২০০ জন লোকজড়ো হয়ে যায়। তখন তিরস্কার করে বলে প্রয়োজনে উনাদের আমরা বিল্ডিংও করে দিব।
৯৯৯ (আই.ও) ছিলেন এসআই শাহাবুদ্দিন বলেন, উক্ত ঘটনা বাড্ডা থানার ওসি সাহেবকে জানানো হয়েছিল । তিনি বলেছিলেন ওনাদের জমিতে উনারা কাজ করবেন । পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।